চলতি মৌসুমের ইরি-বোরো ধান আবাদে কলারোয়ার কৃষকদের ব্যাস্ততা লক্ষ করা গেছে। একদিকে ঘরে তোলা সরিষা ঝাড়তে হবে অপর দিকে সরিষার জমিতে ইরি- বোরো ধানের আবাদ করতে হবে সব মিলিয়ে চরম ব্যাস্ততার মধ্যো দিয়ে দিন অতিবাহিত করছেন কলারোয়ার কৃষকেরা। ধান চাষের জমি প্রস্তুত, বীজতলা থেকে ধানের চারা তুলে এনে রোপন করা, জমিতে সার প্রয়োগ চারা রোপনের আগে, এ সকল কাজ কৃষকের অবসরকে উপেক্ষা করে চরম ব্যাস্ততা এনে দিয়েছে।
তবে চলতি মৌসুমের বীত তলায় ধানের চারা জন্মেছে ভালো যা কৃষক নিজের চাহিদা মিটিয়ে বিক্রির কথা ভাবছেন। আবহওয়া অনুকুলে থাকায় ধানের পাতা জন্মেছে ভালো যার কারণে কৃষক নিশ্চিন্তে ইরি-বোরো ধানের আবাদ করছে।
জয়নগরের কৃষক শুভঙ্কর মন্ডল জানিয়েছেন, এ বছর তিনি ৩ বিঘা জমিতে ইরি ধানের আবাদ করছেন আবহওয়া অনুকুলে থাকলে সঠিক সময়ে ধান ঘরে তুলতে পারলে চাহিদা মিটিয়ে বিক্রি করতে পারবো। তিনি আরও জানিয়েছেন প্রতি বিঘা জমিতে ধান চাষ করতে খরচ হয় ১০/১২ হাজার টাকার মত আর বিঘা প্রতি ধান পাই ১৮/২০ মন যার বাজার মুল্য ২৪/২৫ হাজার টাকার মত।
জয়নগরের অপর এক কৃষক স্বরজিত দাস জানিয়েছেন, তিনি ১০ বিঘা জমিতে ইরি ধানের আবাদ করবেন তবে সব জমিতে এখনও চারা রোপনের কাজ শেষ হয়নি, দুই এক দিনের ভিতরে শেষ হবে বলে আশা করছেন তিনি।
আরেক কৃষক সঞ্জয় ঘোষ জানিয়েছেন তিনি ২.৫বিঘা জমিতে ইরি ধানের আবাদ করছেন।
কলারোয়ার কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম, জানিয়েছেন- বীজ তলাতে ধানের পাতা জন্মেছে ভালো যা কৃষক পর্যায়ে দুশ্চিন্তা ঘুচিয়ে নিশ্চিন্তে ইরি-বোরো ধানের আবাদ করছে। তিনি আরও জানিয়েছেন এ বছর কলারোয়ায় ইরি-বোরো ধান ১২ হাজার ৫ শত হেক্টর জমিতে চাষের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে যা লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশা করছেন তিনি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।